রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিসিএস এবং অন্যান্য পরীক্ষার প্রশ্নাত্তর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পারিবারিক পদবী : কুশারী
বংশ : পীরালি ব্রাহ্মণ
পিতা : দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
মাতা : সারদা সুন্দরী দেবী
উপাধি : কবিগুরু/গুরুদেব
পিতামহ : প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর
জন্ম : ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ (৭ মে ১৮৬১)
মৃত্যু : ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ (৭ আগস্ট ১৯৪১)
জন্মস্থান : কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে।
জন্ম-শতবার্ষিকী ও সার্ধশত: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম- শতবার্ষিকী পালন করা হয় ১৯৬১ সালে। (১১তম বিসিএস) তাঁর পরবর্তী জন্ম-শতবার্ষিকী পালিত হবে ২০৬১ সালে। কবির সার্ধশত পালিত হয় ২০৬১ সালে।
ছদ্মনাম (৯টি) : ভানুসিংহ ঠাকুর, অকপট চন্দ্র ভাস্কর, আন্নাকালী পাকড়াশী, ষষ্ঠীচরণ দেবশর্মা, বানীবিনােদ বিদ্যাবিনােদ, শ্রীমতী কনিষ্ঠা, শ্রীমতি মধ্যমা দিকশূন্য ভট্টাচার্য, নবীন কিশাের শর্মণ প্রভৃতি।
নাইট উপাধি লাভ ও ত্যাগ : কবিকে ১৯১৫ সালে ভারত সরকার নাইট বা স্যার উপাধি প্রদান করে। ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি নাইট উপাধি ত্যাগ করেন।
শান্তি নিকেতন : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০১ সালে শান্তি নিকেতন 'ব্রহ্মচর্যাশ্রম 'নামক একটি আবাসিক বিদ্যাপীঠ বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠা করেন। যা ১৯২১ সালে বিশ্বভারতী কলেজে (পরবর্তীতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়) কলেজে পরিণত হয়।
পূর্বপুরুষ : তাঁর পূর্বপুরুষ ছিলেন পীরালি ব্রাহ্মণ (জাত হারানাে ব্রাহ্মণ যারা বিধর্মীদের সংস্পর্শে আসেন)। তাঁর পূর্বপুরুষ জগন্নাথ কুশারীকে পীরালি ব্রাহ্মণ মেয়ে বিয়ের দায়ে হিন্দু সমাজচ্যুত করা হয়। তাঁর পুত্র পঞ্চানন কুশারী ১৮ শতকের শুরুতে খুলনার দক্ষিণ ডিহি থেকে কলকাতার গােবিন্দপুরে এসে জেলে পাড়ার পুরােহিত হিসাবে কাজ শুরু করলে অনেকে ঠাকুর বলে ডাকেন। তাছাড়া, ইংরেজদের বাণিজ্যের সাথেও সংশ্লিষ্ট হন এবং সেখানেও ঠাকুর হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন।
স্মৃতি বিজড়িত স্থান : শিলাইদহ (কুমারখালী, কুষ্টিয়া ১৮৮৯-১৯০১) : ১৮৮৯ সালে ১ম আসেন এবং সেখানেই 'সােনারতরী' কাব্য রচনা করেন।
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : ১৮৯০ সালে জমিদারি পরিদর্শনে শাহজাদপুর আসেন।
দক্ষিণ ডিহি (ফুলতলা, খুলনা) : রবির মা সারদা সুন্দরী দেবী ও তাঁর স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর এ গ্রামে জন্ম। এমনকি তাঁদের বিয়েও এই গ্রামে।
পতিসর (আত্রাই, নওগা) ঠাকুর জমিদারির কালিগ্রাম পরগণার সদর কাচারি ছিল পতিসরে। ১৮৯১ সালে ১ম পতিসরে আসেন এবং সর্বশেষ ১৯৩৭ সালে পরিদর্শন করেন। এটি নাগর নদীর তীরে অবস্থিত।
ছােটগল্প : (১১৯টি)
রবীন্দ্রনাথের প্রথম ছোটগল্প ভিখারিনী (১৮৭৭) ভারতী পত্রিকায় ১৮৭৪ খ্রি: প্রকাশিত হয়। এরপর ১৮৮৪- ৮৫ তে ঘাটের কথা, রাজপথের কথা ও মুকুট নামে গল্পগুলা প্রকাশিত হলেও ১৮৯০ সালে হিতবাদী পত্রিকায় প্রকাশিত দেনা-পাওনা গল্পটিই রবীন্দ্রনাথ তথা বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছােট গল্প। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সার্থক ছোট গল্পের জনক। তিনি ছোট গল্পের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন-
'ছােট প্রাণ ছােট ব্যথা, ছােট ছােট দুঃখ কথা
নিতান্তই সহজ সরল,
সহস্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি
তারি দু-চারিটি অশ্রুজল।
বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা।
নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ।
অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে
শেষ হইয়ে হইল না শেষ।'
প্রেমের গল্প :
পাত্র ও পাত্রী, শেষের রাত্রি, শেষ কথা, একরাত্রি, দৃষ্টিদান, মাল্যদান, সমাপ্তি, ল্যাবরেটরি, স্ত্রীর নষ্টনীড়, মধ্যবর্তিনী, প্রায়শ্চিত্ত, মানভঞ্জন, দুরাশা, পত্র, শেষকথা, অধ্যাপক; মহামায়া, শান্তি, রবিবার।
ছন্দে ছন্দে মনে রাখুন:
পাত্রপাত্রী শেষ রাত্রের শেষ কথা বলার পর একই রাত্রিতে দৃষ্টিদান করে মাল্যদান করল। সমাপ্তি মেয়েটি ল্যাবরেটরিকে নষ্টনীড় মনে করে পরে মধ্যম প্রায়শ্চিত্ত করল।
সামাজিক গল্প :
পােস্টমাস্টার, হৈমন্তী-এই গল্পে যৌতুক প্রথা প্রাধান্য পেয়েছে, ছুটি, কাবুলিওয়ালা, দেনা-পাওনা, পণরক্ষা, কর্মফল, ব্যবধান, মেঘ ও রৌদ্র, দিদি, যজ্ঞেশ্বরের যজ্ঞ, দান-প্রতিদান, পুত্রযজ্ঞ, খােকাবাবুর প্রত্যাবর্তন ।
কৌশলে মনে রাখুন :
পােস্টমাস্টার হৈম্তী দিদিকে ছুটি দিতে চাইলেও দিদি কাবুলিওয়ালার দেনা-পাওনার পণরক্ষা করার জন্য নিজের কর্মফল ও ব্যবধান রক্ষার জন্য মেঘ ও রৌদ্রের সাথে মিলিত হন।
জেনে রাখুন :
দেনা-পাওনা (ছােটগল্প)- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। দেনা-পাওনা (উপন্যাস)-চট্টোপাধ্যায়।
ক্ষুধিত-পাষাণ, কাবুলিওয়ালা, মুকুট ও সুভা প্রভৃতি সৃষ্টিকর্মে মুসলমান চরিত্র রয়েছে।
অতিপ্রাকৃত গল্প :
ক্ষুধিত পাষাণ (২৮তম বিসিএস), নিশীথে, মণিহার, গুপ্তধন, কঙ্কাল, জীবিত ও মৃত, মাস্টারমশাই। [মনে রাখুন- পণ্ডিত মশাই (উপন্যাস)- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ।
প্রকৃতি ও মানব মনের নিবিড় সম্পর্ক সূচক গল্প-
সুভা - অতিথি - আপদ
নাটক
গীতিনাট্য
বাল্মীকি প্রতিভা (১৮৮১); কালমৃগয়া, মায়ার খেলা, বসন্ত (১৯২৩)
কাব্যনাট্য
মালিনী, চিত্রাঙ্গদা, বিসর্জন, রূদ্রচন্দ্র, রাজা ও রাণী, প্রকৃতির প্রতিশােধ।
নাট্যকাব্য
বিদায় অভিশাপ
নৃত্যনাট্য
শ্যামা, চণ্ডালিকা, (চিত্রাঙ্গদা), নটীর পুজা (১৯২৬) - এই নাটকে প্রথম অভিনয়ের সাথে নাচ ও গানের প্রয়ােগ।
সামাজিক নাটক
বাশরী, শােধবােধ।
সাংকেতিক নাটক
মুক্তধারা, রক্তকরবী, অচলায়তন, ফাল্গুনী, শারদোৎসব, কালের যাত্রা, তাসের দেশ (১৯৩৩), রাজা, ডাকঘর, প্রায়শ্চিত্ত।
কৌশলে মনে রাখুন :
রাজা ও রাণী তাসের দেশে নটির পূজা করতে বসন্তকালের যাত্রায় রুদ্রচন্দ্রকে বিসর্জন দিয়ে বাল্মীকির প্রতিভাকে অচলায়তন করলেন। এই শুনে চিত্রাঙ্গদা অরূপবতী শ্যামাকে নিয়ে ডাকঘরে বসে মুক্তমনে তপসী জপতে শুরু করলেন। সেখানে আরাে উপস্থিত ছিল রক্তকরবী, চন্ডালিকা ও মালিনী ।
রবি ঠাকুর তাঁর ১৩ টি নাটকে অভিনয় করেন।
প্রহসন
বৈকুষ্ঠের খাতা, চিরকুমার সভা (১৯২৬), শেষ রক্ষা, ব্যঙ্গকৌতুক, হাস্যকৌতুক, গােড়ায় গলদ।
রবীন্দ্রনাথ (১৯০০-০১) সালে 'প্রজাপতি নির্বন্ধ' নামে বঙ্গদর্শন পত্রিকায় একটি আখ্যান রচনা করেন। এটি ১৯০৮ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯২৬ সালে 'প্রজাপতির নির্বন্ধ'-কে 'চিরকুমার সভা' নামে নাট্যরূপ দেন।
বসন্ত
(১৯২৩) একটি গীতিনাট্য। এই নাটকের বিষয় যৌবনের প্রতীক ঋতুরাজ বসন্তের জয়গান। রবীন্দ্রনাথ এই গ্রন্থ কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেন।
বিসর্জন
(১৮৯০) নাটকটি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত। এতে রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং এই নাটকের প্রধান দুটি চরিত্র রঘুপতি ও জয়সিংহের ভূমিকায় বিভিন্ন সময়ে অভিনয় করেন। এতে গােমতী নদীর উল্লেখ রয়েছে।
উপন্যাস:
গােরা, শেষের কবিতা, শেষ চার অধ্যায়, চতুরঙ্গ (২১তম বিসিএস), চোখের বালি।
মনে রাখুন :
গােরা শেষের কবিতার শেষ চার অধ্যায় লিখতে চতুরঙ্গেও চোখের বালিতে পরিণত হল।
দুই বােন, মালঞ্চ, রাজস্বী, ঘরে-বাইরে (৩৪তম বিসিএস), যােগাযােগ, বৌ ঠাকুরাণীর হাট, নৌকাডুবি।
মনে রাখুন :
দুই বােন মালঞ্চ ও রাজস্বী ঘরে-বাইরে যােগাযােগ করে পেল না বলে বৌ ঠাকুরাণীর হাটে খুঁজতে গিয়ে নৌকাডুবি হল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতা উপন্যাসের ভাষাবিদ 'সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়' এর নাম পাওয়া যায়।
রাজনৈতিক উপন্যাস
'গােরা 'রচনা (১৯১০) করা হয় বঙ্গভঙ্গ নিয়ে।
'চার অধ্যায়' রচিত হয় স্বদেশী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে।
'ঘরে-বাইরে' রচিত হয় ব্রিটিশ ভারতের রাজনীতিকে ঘিরে।
বিশ্লেষণধর্মী উপন্যাস
'শেষের কবিতা' (রােমান্টিক/কাব্যধর্মী উপন্যাস)
চার অধ্যায়।
ঐতিহাসিক উপন্যাস
'চোখের বালি' বাংলা সাহিত্যের প্রথম মনস্তাত্বিক উপন্যাস।
'রাজস্বী' ও 'বৌ ঠাকুরানীর হাট'।
পত্র সাহিত্য
ছিন্নপত্রাবলী (১৯১২), (১৫৩টি পত্র, আত্মকথন) ১ম ৮টি পত্র শ্ৰীশচন্দ্র মজুমদারকে এবং ১৪৫ টি পত্র ভ্রাতুষ্পত্রী ইন্দিরা দেবীকে (৩১তম বিসিএস)। চিঠিপত্র, যুরােপ যাত্রীর পত্র (সর্ব প্রথম পত্র সংকলন) নির্মলকুমারী কে, পথে ও পথের প্রান্তে, 'ভানুসিংহের পত্রাবলী ' (রানী অধিকারীকে লেখা) রবি মােট ১২ বার বিশ্ব ভ্ৰমণে বের হন ও কত্রিশটিরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেন।
ভ্ৰমণকাহিনী
পারস্যে: জাভা যাত্রীর পত্র
রাশিয়ার চিঠি : যুরােপ প্রবাসীর ডায়রি
চলিত ভাষায় ১ম গদ্য গ্ন্থ যুরােপ প্রবাসীর পত্র (১৮৮১) (১ম)
পথের সঞ্চয়: সিংহল ভ্ৰমণ (সর্বশেষ)
সাহিত্য সমালােচনা
বিচিত্র প্রবন্ধ, লােকসাহিত্য, প্রাচীন সাহিত্য, আধুনিক সাহিত্য, সাহিত্যের পথে।
রম্যরচনা
পঞ্চভূত, লিপিকা, চরিত্র পূজা।
প্রবন্ধ
সমাজ, সাহিত্য, ধর্ম, কালান্তর, সভ্যতার সংকট, ছেলেবেলা, প্রাচীন সাহিত্য, আধুনিক সাহিত্য, লােকসাহিত্য, শিক্ষা, মানুষের ধর্ম, বিশ্বপরিচয়, সাহিত্যের স্বরূপ, ভারতবর্ষ, শব্দতত্ত্ব, আত্মপরিচয়, বিবিধ প্রসঙ্গ, পঞ্চভূতের ডায়েরি, বাজে কথা, ।
স্মৃতিকথা
আত্মপরিচয় (১৯৪৩) | জীবনম্মৃতি (১৯১২) (৪০তম বিসিএস) ছেলেবেলা (১৯৪০)
রাজনৈতিক
সভ্যতার সংকট, স্বদেশ, কালান্তর, আত্মশক্তি, ভারতবর্ষ।
কাব্যগ্রন্থের নাম
সােনার তরী, চিত্রা ,পত্রপুট ,সেঁজুতি, প্রভাত সঙ্গীত, কথা ও কাহিনী, বলাকা ,পুনশ্চ ,ক্ষণিকা, বনবাণী ,ভগ্ন হৃদয় (গীতিকাব্য) কড়ি ও কোমল ,গীতাঞ্জলি,পূরবী, চৈতালি,কল্পনা, কণিকা,নৈবেদ্য ।শেষ লেখা (২০তম ও ৩৮তম বিসিএস)-শেষ কাব্যগ্রন্থ।
জেনে রাখুন :
শেষ লেখা (কাব্যগ্রন্থ)- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শেষের কবিতা (উপন্যাস)- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শেষের পরিচয় (উপন্যাস)- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শেষ চার অধ্যায় (উপন্যাস)- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শেষ সপ্তক (কবিতা)- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শেষ রাত্রির তারা (উপন্যাস)- আবু জাফর শামসুদ্দীন, শেষ পাণ্ডুলিপি (উপন্যাস)- বুদ্ধদেব বসু, শেষ বিকেলের মেয়ে (উপন্যাস)- জহির রায়হান।
'পুনশ্চ' হতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গদ্যরীতিতে কবিতা লেখা শুরু করেন।
'সােনার তরী' মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত। এই সাহিত্যকর্মটি কবি কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বসে রচনা করেন। হিং টিং সট কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সােনার তরী কাব্যগ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে।
'বলাকা' কাব্যে গতিতত্ত্বের প্রকাশ পেয়েছে। 'সবুজের অভিযান' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'বলাকা ' কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত। বিখ্যাত ' শা-জাহান 'কবিতাটি এ কাব্যে স্থান পেয়েছে।
' উর্বশী ' কবিতাটি 'চিত্রা ' কাব্যের অন্তর্গত।
' বাংলার মাটি বাংলার জল 'সনেটটির রচয়িতা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
উল্লেখযােগ্য কবিতার নাম
১৪০০ সাল, আমাদের ছােট নদী, আষাঢ়, দুই বিঘা জমি, ন্যায়দণ্ড, জলছবি, হিন্দুমেলার উপহার, শা-জাহান, নিরুদ্দেশ যাত্রা, আত্মত্রাণ, নির্বরের স্বপ্নভঙ্গ, সবুজের অভিযান, প্রশ্ন, বলাকা, সােনার তরী, দুই পাখি, , উৎসর্গ, চিত্রা, পরিচয়, খেয়া, বঙ্গমাতা, কুটুম্বিতা, অকৃতজ্ঞ, বৈশাখ, বৃক্ষ বন্দনা, বৃষ্টি পড়ে টাপুর-টাপুর, তােমার সৃষ্টির পথ, উর্বশী, প্রাণ, জুতা-আবিষ্কার,
উক্তি দ্বারা বােঝানাে হয়েছে, ছুটি হলে সে গ্রামের 'বুকের রক্ত দিয়া আমাকে যে একদিন দ্বিতীয় সীতা বিসর্জনের কাহিনী লিখতে হইবে সে কথা কে জানিত। (হৈমন্তী) যাহা দিলাম তাহা উজাড় করিয়াই দিলাম। এখন ফিরিয়া তাকাইতে গেলে দুঃখ পাইতে হবে।' (হৈমন্তী) 'এ যে দুর্লভ, এ যে মানবী, ইহার রহস্যের কি অন্ত আছে? 'হায়রে, তাহার বউমার প্রতি বাবার সেই মধুমাখা পঞ্চস্বর এবার এমন বাজখাই খাদে নামিল কেমন করিয়া? 'একবার মনে হইল ফিরিয়া যাই, জগতের ক্রোড়বিচ্যুত সেই অনাথিনীকে সঙ্গে করিয়া লইয়া আসি- নদীবক্ষে ভাসমান পথিকের হৃদয়ে এই তথ্যের উদয় হইল? ফিরিয়া ফল কি-এ পৃথিবীতে কে কাহার? 'কিন্তু মঙ্গল আলােকে আমার শুভ উৎসব উজ্জ্বল হইয়া উঠিল। (কাবুলিওয়ালা) বিপদে মােরে রক্ষা কর/ এ নহে মাের প্রার্থনা, বিপদে আমি না যেন করি ভয়। (আত্মত্রাণ) + 'মামা, আমার ছুটি হয়েছে কি? (ছুটি)- ফটিক চক্রবর্তীর বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে। গগনে গরজে মেঘ, ঘর বরষা। কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা। রাশি রাশি ভারা ভারা, ধান কাটা হল সারা। (সােনার তরী) + 'এতকাল নদীকূলে/ যাহা লয়েছিনু ভুলে/ সকলি দিলাম তুলে থরে-বিথরে এখন আমারে লহ করুণা করে। (সােনার তরী) ঠাই নাই, ঠাঁই নাই, ছােট সে তরী/আমারি সােনার ধানে গিয়েছে ভরি। (সােনার তরী) কি গভীর দুঃখে মগ্ন সমস্ত আকাশ, সমস্ত পৃথিবী! এ ধরার মাঝে তুলিয়া নিনাদ চাহিনা করিতে বাদ প্রতিবাদ। খাঁচার পাখি ছিল বনের পাখি ছিল বনে। একদা কী করিয়া কী ছিল বিধাতার মনে। আর কতদূরে নিয়ে যাবে মােরে সুন্দরী। আমাদের ছােটনদী চলে বাঁকে বাঁকে। + 'ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা, ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ, অধ-মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা। (সবুজের অভিযান) ধরণীর কোন এক দীনতম গৃহে যদি জন্মে প্রেয়সী। + 'পরে মাসে-দেড়ে, করিল ডিক্রি, সকলই বিক্রি মিথ্যা দেনা খতে। এ জগতে হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি। (দুই বিঘা জমি) আমি শুনে হাসি, আঁখি জলে ভাসি, এই ছিল মোের ঘটে সােনার খাঁচাটিতে মিলন হল দোঁহে ভিটে মাটি ছেড়ে বাহির হইনু পথে-উক্তি দ্বারা বােঝানাে হয়েছে, ছুটি হলে সে গ্রামের 'বুকের রক্ত দিয়া আমাকে যে একদিন দ্বিতীয় সীতা বিসর্জনের কাহিনী লিখতে হইবে সে কথা কে জানিত। (হৈমন্তী) যাহা দিলাম তাহা উজাড় করিয়াই দিলাম। এখন ফিরিয়া তাকাইতে গেলে দুঃখ পাইতে হবে।' (হৈমন্তী) 'এ যে দুর্লভ, এ যে মানবী, ইহার রহস্যের কি অন্ত আছে? 'হায়রে, তাহার বউমার প্রতি বাবার সেই মধুমাখা পঞ্চস্বর এবার এমন বাজখাই খাদে নামিল কেমন করিয়া? 'একবার মনে হইল ফিরিয়া যাই, জগতের ক্রোড়বিচ্যুত সেই অনাথিনীকে সঙ্গে করিয়া লইয়া আসি- নদীবক্ষে ভাসমান পথিকের হৃদয়ে এই তথ্যের উদয় হইল? ফিরিয়া ফল কি-এ পৃথিবীতে কে কাহার? 'কিন্তু মঙ্গল আলােকে আমার শুভ উৎসব উজ্জ্বল হইয়া উঠিল। (কাবুলিওয়ালা) বিপদে মােরে রক্ষা কর/ এ নহে মাের প্রার্থনা, বিপদে আমি না যেন করি ভয়। (আত্মত্রাণ) + 'মামা, আমার ছুটি হয়েছে কি? (ছুটি)- ফটিক চক্রবর্তীর বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে। গগনে গরজে মেঘ, ঘর বরষা। কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা। রাশি রাশি ভারা ভারা, ধান কাটা হল সারা। (সােনার তরী) + 'এতকাল নদীকূলে/ যাহা লয়েছিনু ভুলে/ সকলি দিলাম তুলে থরে-বিথরে এখন আমারে লহ করুণা করে। (সােনার তরী) ঠাই নাই, ঠাঁই নাই, ছােট সে তরী/আমারি সােনার ধানে গিয়েছে ভরি। (সােনার তরী) কি গভীর দুঃখে মগ্ন সমস্ত আকাশ, সমস্ত পৃথিবী! এ ধরার মাঝে তুলিয়া নিনাদ চাহিনা করিতে বাদ প্রতিবাদ। খাঁচার পাখি ছিল বনের পাখি ছিল বনে। একদা কী করিয়া কী ছিল বিধাতার মনে। আর কতদূরে নিয়ে যাবে মােরে সুন্দরী। আমাদের ছােটনদী চলে বাঁকে বাঁকে। + 'ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা, ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ, অধ-মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা। (সবুজের অভিযান) ধরণীর কোন এক দীনতম গৃহে যদি জন্মে প্রেয়সী। + 'পরে মাসে-দেড়ে, করিল ডিক্রি, সকলই বিক্রি মিথ্যা দেনা খতে। এ জগতে হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি। (দুই বিঘা জমি) আমি শুনে হাসি, আঁখি জলে ভাসি, এই ছিল মোের ঘটে সােনার খাঁচাটিতে মিলন হল দোঁহে ভিটে মাটি ছেড়ে বাহির হইনু পথে-তমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে। (দুই বিঘা জমি) 'নমাে নম নম সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি।' (দুই বিঘা জমি) অধর্মের মধুমায়া নিষ্ফল আনন্দে নাচিছে পুত্র; স্নেহমােহে ভুলি সে ফল দিয়াে না তারে ভােগ করিবারে; কেড়ে লও, ফেলে দাও, কাঁদাও তাহারে। (গান্ধারীর আবেদন) - 'আজ হতে শতবর্ষ পরে, কে তুমি পড়িছ বসি, আমার কবিতাখানি কৌতূহলভরে। (১৪০০ সাল) 'যে তােমার পুত্র নহে তারাে পিতা আছে। নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহিরে। ওগাে, আজ তােরা যাস নে ঘরের বাহিরে। (আষাঢ়) আজি এ প্রভাতে রবির কর কেমনে পশিল প্রাণের পর, কেমনে পশিল গুহার আঁধারে প্রভাত পাখির গান! না জানি কের রে এত দিন পরে জাগিয়া উঠিল প্রাণ। 'মরিতে চাহিতে আমি সুন্দর ভুবনে মানবের মাঝে আমি বাঁচিবার চাই। (প্রাণ) (১০ম বিজেএস) কেরােসিন শিখা বলে মাটির প্রদীপে, ভাই বলে ডাব যদি গলা টিপে। হেনকালে গগনেতে উঠিলেন চাঁদা। কেরােসিন বলি উঠে, এসাে মাের দাদা। (কুটুম্বিতা) 'পেঁচা রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোন ছুঁতা, জান না আমার সঙ্গে সূর্যের শত্রুতা। -এই উদ্ধৃতাংশটুকুর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল- "হীনমন্যতা'। + 'হে মাের চিত্ত, পূণ্য তীর্থে জাগাে রে ধীরে- এই ভারতের মহামানবের সাগরের তীরে। (৭ম বিজেএস) + 'সম্মুখে শান্তি পারবার ভাসাও তরী হে কর্ণধার তুমি চিরসাথী লও লও হে ক্রোড়পতি অসীমের পথে জ্বলিবে জ্যোতি ধ্রুবতারার। (চিত্রা) 'তােমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি। (শেষ লেখা) [২৬তম বিসিএস) সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালবাসিলাম- সে কখনাে করে না বঞ্চনা। মানুষ যা চায়, ভুল করে চায় যা পায় তা চায় না। 'যে আছে মাটির কাছাকাছি সে কবির বাণী লাগি কান পেতে আছি। (ঐক্যতান) আমি যে দেখেছি গােপন হিংসা কপট রাত্রি ছায়ে।' (প্রশ্ন) এসেছিল সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ, মরণে তাই তুমি করে গেলে দান। -উদ্ধৃতাংশটুকু কবি চিত্তরঞ্জন দাশকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন। একটি ধানের শীষের উপরে একটি শিশির বিন্দু। চিমেরমরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান। (মরণ) + 'বাদলা হাওয়ায় মনে পড়ে ছেলেবেলার গান- বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদেয় এল বান। (বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর) 'ও আমার দেশের মাটি, তােমার পরে ঠেকাই মাথা। মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানাে পাপ। 'সমগ্র শরীরকে বঞ্চিত করে কেবল মুখে রক্ত জম 37 / E স্বাস্থ্য বলা যায় না। আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে। আমরা আরম্ভ করি, আড়ম্বর করি কাজ করি না, যাহা অনুশীলন করি তাহা বিশ্বাস করি না জল পড়ে পাতা নড়ে। 'আমারও পরাণ যাহা চায় তুমি তাই। যখন পড়বে না মাের পায়ের চিহ্ন এই বাটে। উদয়ের পথে শুনি কার বাণী/ভয় নাই, ওরে ভয় নাই নি:শেষে প্রাণ যে করিবে দান/ক্ষয় নাই- তার ক্ষয় নাই। (পূরবী) 'স্বপ্ন দেখেছেন রাত্রে হবুচন্দ্র ভূপ অর্থ তার ভাবি ভাবি গবুচন্দ্র চুপ। অবারিত মাঠ, গগনললাট চুমে তার পদধূলি ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় ছােট ছােট গ্রামগুলি খাঁচার পাখি ছিল সােনার খাঁচাটিতে বনের | দুই পাখি পাখি ছিল বনে। একদা কি করিয়া মিলন হইল দোঁহে, কি ছিল মনে আজি এ প্রভাতে রবির কর স্বপ্নমঙ্গল দুই বিঘা জমি কেমনে পশিল প্রাণের পর নির্বরের স্বপ্ন ভঙ্গ কেমনে পশিল গুহার আধারে প্রভাত পাখির গান নাজানি কেন রে এতদিন পরে জাগিয়া উঠিলপ্রাণ যে আছে মাটির কাছাকাছি সে কবির বাণী লাগি কান পেতে আছি যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালাে মন্দ মিলায়ে সকলি ঐক্যতান (জন্মদিনে) প্রেমে প্রাণে গানে গন্ধে আলােকে পুলকে প্লাবিত করিয়া নিরখিল দ্যুলােক-ভূলােকে তােমার অমল অমৃত পড়িছে ঝরিয়া তােমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি একখানি ছােট খেত, আমি একেলা কিন্তু মঙ্গল আলােকে আমার শুভ উৎসব উজ্জ্বল হইয়া উঠিল প্রেমে প্রাণে গানে গন্ধে আলােকে পুলকে শেষলেখা সােনার তরী কাবুলিওয়ালা গ্রহণ করেছ যত শেষের কবিতা হে বন্ধু বিদায় পাখিরে দিয়েছ গান, গায় সেই গান কলাকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক উৎসরগীকৃত গ্রন্থ গ্রন্থের নাম যাকে উৎসর্গ করেন... কালের যাত্রা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কাজী নজরুল ইসলাম (১৫তম বিসিএস) ভিক্টোরিয়া ওকাম্পাে (আর্জেন্টিনার কবি) তাসের দেশ বসন্ত পূরবী বৌঠাকুরাণীর হাট | ভগিনী সৌদামিনী দেবী আকাশ প্রদীপ সুধীন্দ্রনাথ দত্ত জগদীশচন্দ্র বসু খেয়া জেনে রাখুন.... রবীন্দ্রনাথের প্রথম গল্প ভিখারিনী হলেও হিতবাদী পত্রিকায় প্রকাশিত দেনা-পাওনা সাহিত্যের প্রথম স্বার্থক ছােটগল্পের মর্যাদা লাভ করে। 38 / 682 রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে তবে কুষ্টিয়ার কুঠিবাড়িতে ও নওগাঁর পতিসরে আলাদা ক্যাম্পাস থাকবে যা দেশের ৩৮তম বিশ্ববিদ্যালয়। বিবিসির বাংলা বিভাগ পরিচালিত জরিপ (২০০৪) সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় ২য় স্থান (১ম বঙ্গবন্ধু)। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত 'আমার সােনার বাংলা কবিগুরুর গীতবিতান কাব্যগ্রন্থের 'স্বরবিতান অংশ থেকে নেয়া। গানটি সর্বপ্রথম 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। গানটির সুর করা হয় গগন হরকরার লেখা বাউল গান 'আমি কোথায় পাব তারে গানটির সুরের অনুসরনে। জাতীয় সংগীতে প্রধানভাবে ফুটে উঠেছে 'প্রকৃতির কথা' (১৬তম বিসিএস)। তিনি ঢাকা আসেন ২ বার (১৮৯৮ ও ১৯২৬)। ১৯২৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হলে ১ম T The meaning of Art 4R sO Ta e The Rule of the Giant ¬ a ahaha a e বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্ববিজ্ঞানী আইনস্টাইনের সাথে দর্শন, মানুষ ও বিজ্ঞান নিয়ে আলােচনা করেছিলেন ১৯৩০ সালে। T S Eliot এর কবিতার প্রথম অনুবাদক + বাংলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। (১০ম বিসিএস) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পদাবলী লিখেছেন। (২২তম বিসিএস) ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী' এর রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (২৬তম বিসিএস)। তিনি ব্রজবুলি ভাষায় পদাবলী রচনা করেন। প্রথম গ্রামীণ ক্ষুদ্রঋণ ও গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করেন। 'বঙ্গভঙ্গ' বিক্ষোভ প্রামাণ্য চিত্রের পরিচালক রবি ঠাকুর। + লালনের গানগুলােকে তিনি প্রথম সংগ্রহ করেন। তাঁর চৈনিক নাম "চু চেন তান। তাঁর নিজের আঁকা ছবিগুলােকে 'শেষ বয়সের প্রিয়া বলে অভিহিত করেছেন। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধাচরণ করে রবির গান 'বাংলার মাটি বাংলার জল। এছাড়াও আমার সােনার বাংলা তিনি বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষাপটে রচনা করেছিলেন।তাপসী নামে নাটক রচনা করেন। 'নষ্টনীড়' - রবি ঠাকুরের উপন্যাসধর্মী ছােট গল্প। "চতুরঙ্গ' - রবি ঠাকুরের ছােট গল্পধর্মী উপন্যাস। 'সে' - রবির গল্পগ্রন্থ। ছিন্নপত্র' লেখা চিঠি এর সমাহার-ভাতিজি ইন্দিরা দেবীকে (প্রমথ চৌধুরীর স্ত্রী) তিনি আমার সােনার বাংলা গানটির সুর রচনা করেন বাউল শিল্পী গগন হরকরার গান 'আমি কোথায় পাবাে তারে সুরের অনুকরণে। বাংলাদেশে রবি ঠাকুরকে নিয়ে ডাক টিকেট প্রকাশ- রবির ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে, ৭ আগস্ট ১৯৯১ সালে তবে রবির জন্মশত বার্ষিকীতে বর্হিবিশ্বে ১ম ব্রাজিল ডাকটিকেট প্রকাশ করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত গানের সংকলনের নাম গীতবিতান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গানের সংখ্যা ২২৩টি। রবীন্দ্র সঙ্গীত চর্চা প্রসারে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান 'ছায়ানট। রেজোয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্র ধারার সঙ্গীত শিল্পী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নদীকে মানব জীবনের সাথে তুলনা করেছেন। দীনবন্ধু মিত্র (১৮৩০-১৮৭৩) জন্মস্থান : নদিয়া জেলার চৌবেরিয়ায়। ০ পিতা : কালাচাঁদ মিত্র। উপাধি : রায়বাহাদুর। ০ দীনবন্ধুর পিতৃদত্ত নাম ছিল 'গন্ধরব নারায়ণ'। নীল দৰ্পণ (১৮৬০); নবীন তপস্বিনী (১৮৬৩); লীলাবতী (১৮৬৭); কমলে কামিনী (১৮৭৩) [২৬তম বিসিএস) সধবার একাদশী (১৮৬৬); বিয়ে পাগলা বুড়াে [২৮তম বিসিএস); জামাই বারিক সুরধুনী কাব্য, দ্বাদশ কবিতা নাটক প্রহসন কাব্য নীল দৰ্পণ : ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম ছাপাখানা 'বাংলা প্রেস (১৮৬০) হতে মুদ্রিত প্রথম গ্রন্থ হলাে 'নীল দৰ্পণ [১৬তম বিসিএস ও ৩৮তম বিসিএস)। নীল দৰ্পণ নাটকটি রেভারেন্ড জেমস্ লঙ এর প্রকাশনায় ১৮৬১ সালে মাইকেল মধুসূদন দত্ত কর্তৃক A Native ছদ্মনামে ZRTAa a The Indigo planting Mirror' a ao বিসিএস) প্রকাশিত হয়। এর প্রধান চরিত্র : নীল মাধব। দীনবন্ধু মিত্র নীলকর সাহেবদের বীভৎস অত্যাচারের কাহিনী [৩৪তম বিসিএস) এই নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। এই নাটকে নীলকরদের পাশবিক উৎপীরনের যথার্থই দপর্ণ হয়ে উঠেছিল। বাস্তব চিত্র রূপায়ণের ফলে সে আমলে নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রবল আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রজারা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। এই নাটকটিকে Uncle Tom's Cabin এর সাথে তুলনা করা হয়।১৮৬০ সালে সরকার "ইন্ডিগাে কমিশন গঠন করে। কমিশনের রিপাের্টে নীলচাষ ব্যবস্থার নিন্দা করা হয় এবং চাষীদের ওপর উৎপীড়ন বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। সধবার একাদশী এতে তৎকালীন ইয়ং বেঙ্গল দলের উচ্ছৃঙ্খলতা অনাচারের চিত্র অংকন করা হয়েছে। প্রহসনটি মাইকেল মধুসূদনের 'একেই কি বলে সভ্যতা অনুসরণে রচিত। নিম্চাঁদ এই প্রহসনের মূল চরিত্র।