পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতা সমূহ বিস্তারিত আলোচনা, বিসিএস ও অন্যান্য চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর

পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতা 

আলোচনার বিষয়বস্তু

১.মেসােপটেমিয়া সভ্যতা
২.সুমেরীয় সভ্যতা(The Sumerian Civilization)
৩.ব্যাবিলনীয় সভ্যতার(The Babylonian Civilization)
৪.অ্যাসেরীয় সভ্যতা(The Assyrian Civilization)
৫.ক্যালডীয় সভ্যতা(The Chaledean Civilization)
৬.মিশরীয় সভ্যতা
৭.চৈনিক সভ্যতা 
৮.সিন্ধু সভ্যতা
৯.ফিনিশীয় সভ্যতা
১০.হিব্রু সভ্যতা
১১.রােমান সভ্যতা
২.মিনােয়ান সভ্যতা
১৩.ইনকা সভ্যতা 
১৪. প্রাচীন কালের বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ
১৫. প্রাচীনকালের মানুষ ও তাদের বৈশিষ্ট্য
https://chakrirporasuna.blogspot.com/2021/08/%20%20%20%20%20%20%20%20%20%20%20.html



পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতা বিসিএস ও অন্যান্য চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর

মেসােপটেমিয়া সভ্যতা:

পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতা।

এটি প্রাচীন বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সভ্যতা

গড়ে ওঠে টাইগ্রিস (দজলা) ও ইউফ্রেটিস (ফোরাত) নদীর উর্বর তীরাঞ্চলে। (৩৯তম বিসিএস) 

গ্রিক  অর্থ দুই নদীর মধ্যবর্তী ভূমি।

মেসােপটেমিয়া সভ্যতার অন্তর্ভুক্ত ছিল সুমেরীয় সভ্যতা, ব্যাবিলনীয় সভ্যতা, অ্যাসেরীয় সভ্যতা, ক্যালডীয় সভ্যতা। 

প্রাচীন মেসােপটেমিয়া বর্তমান ইরাকের অন্তর্গত। 

সুমেরীয় সভ্যতা(The Sumerian Civilization)

মেসােপটেমিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা গড়ে তুলেছিল সুমেরীয় । 

সুমেরীয়দের আদিবাস ছিল এলামের পাহাড়ি অঞ্চলে। তাদের আয়ের মূল উৎস ছিল কৃষি। উন্নত সেচ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল।

সুমেরীয়গণ 'কিউনিফর্ম' (Cuneiform) নামে একটি নতুন লিপির উদ্ভাবন করে। কিউনিফর্ম হলাে অক্ষরভিত্তিক বর্ণলিপি। কিউনিফর্ম দেখতে কোন কোনটা ইংরেজি V অক্ষরের মতাে মনে হতো।

সুমেরীয়দের সবচেয়ে বড় অবদান চাকা (Wheel) আবিষ্কার। 

ব্যাবিলনীয় সভ্যতার(The Babylonian Civilization)

স্থপতি হামুরাবি (Hammurabi)। পৃথিবীর লিখিত আইন প্রণেতা ছিলেন ব্যাবিলনীয় সভ্যতার স্থপতি হামমরাবি। এই সভ্যতায় আইন সংক্রান্ত 'হাম্মুরাবি কোড'প্রণীত হয়েছিল। 

সুমেরীয়দের উদ্ভাবিত কিউনিফর্ম লিপিতে ব্যাবিলনীয়দের দ্বারা লেখা হয় বিখ্যাত মহাকাব্য গিলগামেশ (Gilgamesh)।

পৃথিবীর প্রাচীনতম মানচিত্র পাওয়া যায় ব্যাবিলনের উত্তরের গাথুর শহরের ধ্বংসাবশেষে। এটি ছিল ভ্রমণকারীদের পথ নির্দেশ করার জন্য সহজ ও সরল প্রকারের মানচিত্র।

অ্যাসেরীয় সভ্যতা(The Assyrian Civilization)

টাইগ্রিস নদীর তীরে আশুর নামে একটি সমৃদ্ধ শহর গড়ে উঠে। ইতিহাসে অ্যাসেরীয়রা পরিচিত সামরিক রাষ্ট্র হিসেবে। তারাই প্রথমে লােহার অ্ত্রে সজ্জিত বাহিনী গঠন করে এবং যুদ্ধরথের ব্যবহার করে।

অ্যাসেরীয়রা প্রথম বৃত্তকে ৩৬০° তে ভাগ করে।পৃথিবীকে তারাই সর্বপ্রথম অক্ষাংশ(Latitudes) এবং দ্রাঘিমাংশে(Longitudes) ভাগ করেছিল। 

ক্যালডীয় সভ্যতা(The Chaledean Civilization)

ব্যাবিলন শহরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠায় ক্যালভীয় সভ্যতা ইতিহাসে 'নতুন ব্যাবিলনীয় সভ্যতা' নামেও পরিচিত।ক্যালডীয় সভ্যতার স্থপতি ছিলেন সম্রাট নেবুচাঁদনেজার। ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান(The Hanging Garden of Babylon) নির্মাণের জন্য তিনি অমর হয়ে আছেন। সম্রাজ্ঞী বাগান পছন্দ করতেন। তাঁরই উৎসাহে সম্রাট নগর দেওয়ালের উপর তৈরি করলেন আশ্চর্য সুন্দর এক বাগান। ইতিহাসে যা শূন্য উদ্যান নামে পরিচিত। ক্যালডীয়রাই প্রথম সপ্তাহকে ৭ দিনে বিভক্ত করে। আবার প্রতিদিনকে ১২ জোড়া ঘণ্টায় ভাগ করার পদ্ধতি তারা বের করে। ক্যালডীয়রা ১২টি নক্ষত্রপুঞ্জের সন্ধান পান। তা থেকে ১২ টি রাশিচক্রের (12 Zodiac Circles) সৃষ্টি হয়। - The Hanging Garden of Babylon ( শূন্য উদ্যান) প্রাচীন সপ্তাশ্চার্যের একটি।

পৃথিবীর প্রাচীন বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম।

মিশরীয় সভ্যতা

খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দে (মতান্তরে ৫০০০ অব্দে) নীল নদের তীরে মিশরীয় সভ্যতার গােড়াপত্তন ঘটে। মিশরীয় সভ্যতার সবচেয়ে বড় অবদান হলাে পিরামিড তৈরি। পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় পিরামিড মিশরের রাজা ফারাও বা রাজা খুফুর পিরামিড। এ পিরামিডে রাজা খুফুর সমাধি অবস্থিত।

গ্রিক ইতিহাসবিদ হেরােডােটাস মিশরকে- নীলনদের দান বলেছেন। সমগ্র মিশরকে এক করেন রাজা মেনেস। মেনেসের শাসনকালে রাজধানী ছিল মেক্ষিস।

মিশরীয়রা ছবি ও সংকেতের সাহায্যে হায়রােগ্লিফিকস (Hieroglyphics) লিপির প্রচলন করেন। গাছের সাদা বাকল থেকে তারা প্যাপিরাস নামক কাগজও তৈরি করেন।

মিশরীয়রা পাল তােলা বড় নৌকা, ১২ মাসে বছর, ৩০ দিনে মাস, ৩৬৫ দিনে সাল গণনা, মৃৎপাত্র তৈরির যন্ত্র, ঢাল, তলােয়ার, তীর- ধনুক প্রভৃতির প্রচলন করেন।

এটি  পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতা গুলোর মধ্যে অন্যতম

চৈনিক সভ্যতা 

খ্রিস্টপূর্ব ৩,০০০ অব্দে চীনের হােয়াংহাে ও ইয়াংসিকিয়াং নদীর উর্বর অঞ্চলে চৈনিক সভ্যতা গড়ে ওঠে।

চীনারা ব্রাঞ্জের ব্যবহার জানত। তারা ঘােড়া টানার রথ ব্যবহার করত।

চীনের সমাজব্যবস্থা চার ভাগে বিভক্ত ছিল বুদ্ধিজীবী, জনগণ, ক্রীতদাস। চীনারা তাদের রাজাকে ঈশ্বরের পুত্র মনে করত। 

কনফুসিয়াস ছিলেন চীনের সবচেয়ে প্রভাবশালী দার্শনিক। কনফুসিয়াসের (Confucius) দর্শন ধর্মে পরিণত হয় ২০৬ অন্দে। চীনা জনগােষ্ঠী মূলত মঙ্গোলীয় বংশােভূত। 

সিন্ধু সভ্যতা

সিন্ধু সভ্যতা (Sindhu Civilization) ছিল ব্রোঞ্জ যুগীয় সভ্যতা (৩৩০০ - ১৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)। পাকিস্তানের সিন্ধু নদের তীরে হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারাে (Mohenjo Daro) এবং আরাে ছােটবড় একশত শহর ও গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠে সিদ্ধু সভ্যতা। দ্রাবিড়গণ এই সিদ্ধু সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করেন। 

সিন্ধু সভ্যতা আবিষ্কার করেন জন মার্শাল, দয়ারাম সাহনী এবং রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯২২ সালে প্রত্নত্ত্ববিদরা মাটি খুঁড়ে এ সভ্যতার নিদর্শন দেখতে পান।

মাটি খুঁড়ে খোঁজ পাওয়া প্রথম নগরীটির নাম হরপ্পা। নগরীটি গড়ে ওঠে সিন্ধুর উপনদী ইরাবতীর তীরে। 

খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে উত্তর- পশ্চিম দিক থেকে আগত আর্যদের আক্রমণে এই সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যায়। 

 পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতা  সভ্যতা মধ্যে অন্যতম।


ফিনিশীয় সভ্যতা

খ্রিস্টপূর্ব ১৮০০ অব্দ থেকে লেবানন ও ভূ- মধ্যসাগরের মাঝামাঝি অঞ্চলে এ সভ্যতা গড়ে উঠে। 

সভ্যতার ইতিহাসে ফিনিশীয়দের পরিচয় হলাে শ্রেষ্ঠ নাবিক ও জাহাজ নির্মাতা হিসেবে। এদের মূল পেশা ছিল বাণিজ্য। ফিনিশীয় নাবিকরা ধ্রুবতারা দেখে রাতে জাহাজ চালাতে পারত। 

এরা ২২টি ব্যঞ্জনবর্ণের সমন্বয়ে ফিনিশীয় বর্ণমালা (Phonician alphabet) উদ্ভাবন করে। আধুনিক বর্ণমালার সূচনা এখান থেকেই। এরা কালি, কলম, কাগজের ব্যবহার জানত। আলেকজান্ডারের হাতে ফিনিশীয়দের পতন ঘটে। 

ফিনিশীয় ২০০৫ সালে ইউনেস্কো ভাষাকে International Documentary Herritage হিসেবে Memory of the world Registerনিবন্ধিত করে। 

পারস্য সভ্যতা পারস্য (বর্তমান ইরান)

খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ থেকে ৬০০ অব্দ পর্যন্ত মরুভূমির উত্তরে বিস্তর্ণ উর্বর ভূমিতে এ সভ্যতা গড়ে ওঠে। 

সভ্যতায় পারসীয়দের প্রধান অবদান হলাে দক্ষ ব্যবস্থাপনা গড়ে তােলা। পারস্যরা লিপি লিখনে ৩৯টি কিউনিফর্ম ব্যবহার করত।

এ সময় জরগ্রুস্ট নামক ধার্মিক ও দার্শনিক নতুন ধর্মীয় জরঞ্রুস্টবাদ প্রবর্তন করেন। 

দারিয়ুস ছিলেন পারস্যের বিখ্যাত সম্রাট। 

পারস্য সভ্যতার অপর নাম একমেনিড সভ্যতা। পারস্যরা সর্বশক্তিমান প্রভুকে বলত আহুরামাজদী। 

হিব্রু সভ্যতা 

প্যালেস্টাইনের জেরুজালেম নগরীকে কেন্দ্র করে হিব্রু সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল। হিব্রু মূলত একটি ভাষার নাম। তবে হিক্রু অর্থ নিচ বংশের লােক বা যাযাবর। 

বর্তমান ইসরাইলের অধিবাসীরা হচ্ছে হিক্রুদের বংশধর। জেরিকো শহরটি ইসরাইলে অবস্থিত। এখানে প্রথম নগর সভ্যতার পত্তন হয়েছিল।

এটি প্রাচীন বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম

হিব্রুদের প্রধান অবদান-ধর্মের ক্ষেত্রে। 

গ্রিক সভ্যতা খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ অব্দ হতে গ্রিক সভ্যতার সূত্রপাত। রােমানরা হেলাস দেশকে গ্রিক নামে রূপান্তরিত করে। গ্রিসের লােকেরা অতীতে নিজেদেরকে 'হেলেনীজ' বলত। তাদের সংস্কৃতিকে হেলেনিক আখ্যায়িত করা হয়। আর হেলেনিশ্টিক সংস্কৃতির জন্ম হয় মিশরের আলেকজান্দ্রিয়াকে কেন্দ্র করে গ্রিক সভ্যতার সাথে অন্য সংস্কৃতির মিশ্রণে। 

গ্রিক সভ্যতা মূলত স্পার্টা ও এথেন্সকেন্দ্রিক। নগররষ্ট্র দুটোর মধ্যে স্পার্টা ছিল সামরিক নগররাষ্ট্র। এথেন্স ও স্পার্টার মধ্যে একটি লােমহর্ষক যুদ্ধ সংগঠিত হয়, নাম পেলােপনেসিয়ার যুদ্ধ (Pelopennsian war)।প্রাচীনতম গণতন্ত্র। তাই গ্রিসকে গণতন্ত্রের সৃতিকাগার বলা হয়। 

এথেন্সের গােত্রপ্রধানদের নিয়ে গঠিত সংসদকে বলা হত এরিওপেগাস। 

দার্শনিক সক্রেটিস ছিলেন এ সভ্যতার শ্রেষ্ঠ দার্শনিক। তিনি যুক্তিবাদী দর্শন প্রবর্তন করেন। সক্রেটিসকে হেমলক বিষ পানে হত্যা করা হয়। Republic গ্রন্থের লেখক প্লেটো ছিলেন সক্রেটিসের শিষ্য। প্লেটোর ছাত্র ছিলেন The Politics, The Ethics, The Logic এই গ্রন্থের লেখক এরিস্টটল।দি প্রিন্স গ্রন্থের লেখক নিকলাে ম্যাকিয়াভেলি আধুনিক 'রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক'। 

গ্রিসে প্রাচীন অলিম্পিক শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব ৭৭৬ অব্দে। গ্রিক নাট্যকার ঈদ্কিলাস (নাটক: প্রমিথিউস, আগামেমনন), সফোক্লিস (নাটক : রাজা ইদিপাস, ইলেক্ট্রা) এ সময় নাটক রচনা করেন। এ সময় হেরােডােটাস ইতিহাস রচনা করেন। তাকে বলা হয় ইতিহাসের জনক। 

বিখ্যাত গণিতবিদ 'পিথাগােরাস' এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানী 'হিপােক্রিটাস' এ সময়ের গ্রিসের বাসিন্দা।

প্রাচীন গ্রিসের মহাকবি হােমার রচনা করেছেন 'ইলিয়ড' ও 'ওডিসি'। 

গ্রিকরা দেবদেবীতে বিশ্বাসী ছিল। গ্রিকদের প্রধান দেবতা ছিল জিউস। 

অন্যান্য দেবতাদের মধ্যে- সূর্য, চিকিৎসা ও সঙ্গীতের দেবতা ভালবাসা ও সৌন্দর্যের দেবী শিকার ও উর্বরতার দেবী বিবাহের দেবী যুদ্ধদেবতা অ্যাপােলাে অ্যাফ্রোদিতি আরটেমিস হেরা এরিস কৃষি দেবী ডিমিটার।

এটি প্রাচীন বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম

রােমান সভ্যতা 

ইতালির রােমকে কেন্দ্র করে খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অক্দে রােমান সভ্যতার সূত্রপাত হয়। এটি নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা। ল্যাটিন রাজা রােম নগরীর পত্তন করেন। রাজা রােমুলাসের নামেই রােম নগরীর নামকরণ করা হয়। অগাস্টাস হলেন রােম সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট। সঙ্গীতপ্রিয় রােমান সম্রাট লিওপােন্ড মৃত্যুর সময়ও সঙ্গীত শুনতে শুনতে প্রাণত্যাগ করেন। 

জুলিয়াস সিজার ছিলেন রােমের খ্যাতিমান সম্রাট। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ অব্দে রােমের সম্রাট হন। এসময় মিশরের রানি ক্লিওপেট্রার সাথে সিজারের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জুলিয়াস সিজার ব্রিটেন আক্রমণ করেন খ্রিস্টপূর্ব ৫৫ অব্দে। জুলিয়াস সিজার সহজে ব্রিটেন দখল করে একটা কথা বলেছিলেন, 'Veni, Vidi, Vici' এর অর্থ এলাম, দেখলাম ও জয় করলাম। 

সিজারকে পাম্পে সূতী পর্বতের পাদদেশে হত্যা করা হয়। সিজারের মৃত্যুর পর মার্ক এন্টনির সাথে ক্লিওপেট্রার প্রণয় হয়। সম্রাট অগাস্টাস সিজারের হাতে এন্টনির পতন হয়। অগাস্টাস সিজারের শাসনামলে যিশু প্রিস্ট জন্মগ্রহণ করেন। 

রােমান সাম্রাজ্যে সম্র্রাট কনস্ট্যান্টাইন খ্রষ্ট ধর্মের বিছ্তার ঘটান। 

এটি প্রাচীন পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম

১২টি ব্রঞ্জের পাতে রােমান আইন সংকলন করেন। সর্বপ্রথম রােমান আইন সংকলন করেন- সম্রাট জাস্টিনিয়ান। 

মিনােয়ান সভ্যতা 

আর্থার ইভান্স ১৮৯৯ সালে ক্রিট সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ খোঁড়াখুঁড়ি করে আবিষ্কার করেন মিনােয়ান সভ্যতা। খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় তাদের রাজধানী ক্লসস। এ নগরী খ্রিস্টপূর্ব ১৪০০ অব্দে আগুনে পুড়ে যায়। 

ইজিয়ান সভ্যতা

খ্রিস্টপূর্ব ২.০০০ অক্দে ইউরােপের ইজিয়ান সাগরের নিকটবর্তী দ্বীপকে কেন্দ্র করে এ সভ্যতার গােড়াপত্তন ঘটে। এ সময়ে লিখন পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয় এবং রঙিন দেয়ালচিত্র ও মৃৎশিল্পের সন্ধান পাওয়া যায়। 

নারা সভ্যতা 

খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দে জাপানে এ সভ্যতা দেখা দেয়। বৌদ্ধদের প্রভাবিত বৌদ্ধ সংস্কৃতির উৎকর্ষ ছিল এ সভ্যতার প্রধান বিষয়। এ সময় বৌদ্ধ সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধিত হয় এবং প্যাগােডা নির্মিত হয়। 

ইনকা সভ্যতা 

পেরুর দক্ষিণাঞ্চলে এ সভ্যতার বিকাশ ঘটে। এ সভ্যতার সম্রাটগণ তাদের বসবাসের জন্য মাচুপিচু তৈরি করেন। এটিকে সবচেয়ে আধুনিক সভ্যতা বিবেচনা করা হয়। 

ইনকা সভ্যতার সর্বশ্রেষ্ঠ আবিষ্কার জলের সাহায্যে সেচ পদ্ধতি। 
ইনকা সভ্যতার সরকারি নাম- ক্যুয়চুয়া।এটি প্রাচীন বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সভ্যতা

প্রাচীনকালে বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ 

হেরােডােটাস 

ঐতিহাসিক হিরােডেটাস ইতিহাসের জনক হিসেবে খ্যাত। তিনি সর্বপ্রথম History শব্দটি ব্যবহার করেন। তার রচিত বই- এর নাম 'ইতিবৃত্ত' (History). 

হাম্বুরাবি 

ব্যাবিলনের রাজা ছিলেন। তাঁর অধীন লােকদের কঠোর নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে আইন প্রণয়ন করে 'Code of Hummurabi'বই রচনা করেন। ২৮২ ধারা বিশিষ্ট এ আইন গ্রন্থটি পৃথিবীর প্রথম আইন গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত। 

ক্লিওপেট্রা

দ্বাদশ টলেমীর কন্যা ছিল ক্লিওপেট্রা। অষ্টাদশী ক্লিওপেট্রা তার ছােট ভাই দশ বছর বয়সী ত্রয়ােদশ টলেমীকে বিয়ে করে মিশরের রানী হন। রােমান সম্রাট সিজারের সাথে যুদ্ধে টলেমী মারা গেলে তিনি সিজারের প্রণয়িণীতে পরিণত হন। সিজার নিহত হলে তিনি মিশরে ফিরে গিয়ে সেনাপতি এন্টনিকে বিয়ে করেন। রােমান সম্রাট অক্টোভিয়ানের হাতে এন্টনির পতন ঘটলে ক্লিওপেট্রা সর্পদংশনে (অ্যাম্প নামের এই সাপ হয় মাত্র কয়েক ইঞ্চি লম্বা, তবে মারাত্মক বিষধর। ডুমুরের ঝুড়িতে করে বিশেষ ব্যবস্থায় আনা হয়েছিল দুইটি সাপ) আত্মহত্যা করেন। তিনি সার্পেন্ট অব নাইল নামে পরিচিত। 

ডেভিড

ইসরাইলের প্রাচীন রাজা। ফিলিস্তিনী বীর গােলিয়াথকে পরাজিত করে তিনি খ্রিস্টপূর্ব ১,০০০ অন্দে জেরুজালেমে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। তিনি ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী নবী হযরত দাউদ (আঃ)।  

নেবুচাঁদনেজার

খ্রিস্টপূর্ব ৬৩০- ৫৬২ সময়ে তিনি ছিলেন ব্যাবিলনের সম্রাট। এসময়ে তিনি তাঁর স্ত্রীর মনােরঞ্জনের জন্য ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান তৈরি করেন। 

অন্যান্য তথ্য 

খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ অক্দে এশিয়া মাইনরে লৌহ যুগের অবসান হয়।
লৌহ ব্যবহার প্রথম শুরু করে- হিট্রাইট সভ্যতার লােকেরা। হিট্রাইটদের ধর্মে প্রভাব ছিল হুরিয়ানদের।
গ্রিক কবি হােমারের মহাকাব্য থেকে ইজিয়ান সভ্যতার তথ্য পাওয়া যায়

মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায় হেলেনিস্টিক সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। হেলেনিস্টি সভ্যতা গড়ে তােলেন ম্যাসিডােনিয়ার অধিপতি আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট। 

জাভা মানব : 

১৮৯১ সালে ইন্দোনেশিয়ার অন্তর্গত পূর্ব জাভায় প্রাগৈতিহাসিক মানুষের খুলি আিষ্কৃত হয়। এই আদি মানবের নাম দেওয়া হয় জাভা মানব। 

পিকিং মানব : 

বর্তমান বেইজিং বা পিকিং-এর নিকট পাওয়া যায় প্রাগৈতিহাসিক মানুষের মাথার খুলি যাকে পিকিং মানব বলা হয়। 

হেইডেলবার্গ মানব : 

জার্মানির হেইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক আদি মানবের নিচের চোয়াল আবিষ্কার করেন। এই আদি মানবের নাম দেওয়া হয় হেইডেলবার্গ মানব।

লুসি মানব : 

১৯৭৪ সালে ইথিওপিয়ায় আবিষ্কৃত মিলিয়ন বছরের পুরনো একটি কঙ্কাল।




Next Post Previous Post
2 Comments
  • Unknown
    Unknown August 9, 2021 at 8:04 PM

    Very helpful for me

  • Openbazzars
    Openbazzars August 10, 2021 at 4:33 PM

    Nice post I like it

    Jobs in ksa

Add Comment
comment url